দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষায় success পেতে ইতিহাসের প্রথম অধ্যায় (ইতিহাসের ধারণা) থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ 2 নম্বরের প্রশ্নগুলি তোমাদের অবশ্যই পড়তে হবে।
মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্নের মান : 2
Q.নতুন সামাজিক ইতিহাস কি ?
Ans. ইতিহাস হল মানব সভ্যতার ক্রম বিবর্তনের ধারাবাহিক বিবরণ। অতীত ইতিহাসে শুধুমাত্র রাজা মহারাজা কিংবা অভিজাতকের কথা লেখা থাকত। কিন্তু ১৯৬০-৭০ দশকে এই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এখানে সাধারণ মানুষ, নিম্নবর্গীয় সমাজ, এমনকি প্রান্তিক সমাজের রাজনৈতিক, অর্থনৈতি, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জীবনের বিবর্তনের কথাও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। আধুনিক ইতিহাস চর্চার এই ধারা নতুন সামাজিক ইতিহাস নামে পরিচিত।
Q. নতুন সামাজিক ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি ?
Ans.নতুন সামাজিক ইতিহাসের বেশ কতগুলি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় সেগুলি হল:-
- নতুন সামাজিক ইতিহাসে রাজা-মহারাজা বা অভিজাত বর্গের আলোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ নিম্নবর্গের মানুষ এমনকি প্রান্তিক অন্তজ জীবনযাত্রা সমানভাবে আলোচিত হয়।
- নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার পরিধি ব্যাপক। খাদ্যাভ্যাস, পোশাক পরিচ্ছদ, শিল্পচর্চা ,পরিবেশ, খেলাধুলা জাতীয়তাবা, নারীবাদ – এই সবকিছুই নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার অন্তর্ভুক্ত।
Q. নিম্নবর্গীয় ইতিহাস ইতিহাস বলতে কী বোঝো ?
Ans.১৯৮০ দশকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জাতি-ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে নিম্নবর্গের প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে যে ইতিহাস চর্চা শুরু হয় তাকে বলা হয় নিম্নবর্গীয় ইতিহাস।
Q. খেলাধুলার ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি ?
Ans. খেলাধুলার ইতিহাস চর্চা প্রধান গুরুত্বের দিক গুলি হল:-
- খেলার ইতিহাস চর্চার মধ্যে দিয়ে আমরা যেকোনো খেলার উদ্ভব ও বিবর্তনের ইতিহাস জানতে পারি।
- খেলার ইতিহাসের মধ্য দিয়ে মানুষের ক্ষমতার ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত বিবর্তনের দিকটি বোঝা যায়।
- খেলায় নারীদের অংশগ্রহণ দেখে সমাজে নারীদের স্বাধীনতা বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।
Q. ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
Ans. ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ । কারণঃ-
- ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মোহনবাগান ক্লাব ইংরেজ ইস্ট ইয়র্ক ক্লাবকে পরাজিত করে আইএফএ শিল্ড জয় লাভ করেছিল।
- ওই বছর ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল ।
- ওই বছরই ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে কার্যকরী বঙ্গভঙ্গ বিভাজনের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
Q. খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি ?
Ans. খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলি হল :
- খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাস চর্চা থেকে কোন একটি অঞ্চলের ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কথা জানা যায়।
- খাদ্যাভ্যাসের বিবর্তন যেকোনো দেশের বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে চিনতে সাহায্য করে ।
- খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে দিয়েই মানুষের রুচি, সংস্কৃত, অতীতঐতিহ্, এমনকি অর্থনৈতিক অবস্থার পরিচয় পাওয়া যায় ।
- খাদ্যাভ্যাস মানুষের ধর্মীয় ও আঞ্চলিক পরিচয়, প্রকাশ্যে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
Q. শিল্পচর্চার ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
Ans. শিল্পচর্চার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিক গুলি হল:
- শিল্পচর্চার ইতিহাস থেকে যেকোনো সময়ের নান্দনিকতা, সৃষ্টিশিলতা ও মনস্তাত্ত্বিক দিকটি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় ।
- সঙ্গীত নৃত্য নাটক চলচ্চিত্র ইত্যাদির মাধ্যমে একটি দেশের সাংস্কৃতিক সত্তাকে বোঝা যায়
- শিল্পচর্চায় তদানীন্তন সমাজ ভাবনা ও ঐতিহ্য প্রতিফলিত হয় ।
Q. অ্যানাল স্কুল কি ?
Ans. ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে মার্ক ব্লক ও লুসিয়ান ফেবর ফ্রান্সে ‘অ্যানাল পত্রিকা’ প্রকাশ করেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তাদের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে ‘অ্যানাল স্কুল’। এই গোষ্ঠীর ইতিহাসবিদরা সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা ও তাদের জীবন সংগ্রাম নিয়ে নতুনভাবে ইতিহাস চর্চা শুরু করেন। এই ঐতিহাসিক গোষ্ঠীকে বলা হয় ‘অ্যানাল স্কুল’ বা ‘অ্যানাল গোষ্ঠী’।
Q. স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
Ans. কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষজনের নিজস্ব ইতিহাসই হল স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস। এই ইতিহাস চর্চা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ গুলি হলঃ
- এর দ্বারা স্থানীয় অধিবাসীদের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
- জাতীয় ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে থেকে যাওয়া বিভিন্ন ফাঁকফোকর পূরণ করা সম্ভব হয়।
- স্থানীয় মানুষজন নিজেদের অঞ্চলের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক জেনে নিজেরা সমৃদ্ধ হতে পারে।
Q. সামরিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কি ?
Ans.আধুনিক ইতিহাস চর্চায় সামরিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হল:
- সামরিক ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে কোন দেশ তার সামরিক সক্ষমতা ও বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে।
- কোন যুদ্ধের জয় কিংবা পরাজয়ের সঠিক ব্যাখ্যা আমরা এই ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে পাই।
- সামরিক ইতিহাস যুদ্ধের প্রকৃতিকেও বুঝতে সাহায্য করে।
- এই ইতিহাস অতীতের যুদ্ধ কৌশলের নানা ভুলভ্রান্তি ও ত্রুটিগুলো চিনিয়ে দিতে সাহায্য করে।
Q. পরিবেশ ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব গুলি কি কি ?
Ans.ইতিহাসের যে শাখায় পরিবেশের প্রকৃতি প্রভাব সমস্যা ও পরিবর্তনে ধারাকে ব্যাখ্যা করে তাকে পরিবেশ ইতিহাস বলা হয়। এই ইতিহাসের গুরুত্ব গুলি হল:
- পরিবেশ ইতিহাস চর্চা থেকে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল ও সেখানকার জীব বৈচিত্র্য জানতে পারি।
- পরিবেশের সংকটের কারণ ও তার সমাধান সম্পর্কে জানতে পারি।
- পরিবেশের উপর খাল খনন, জলাধার, নদীবাঁধ, কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
Q. নারীদের চর্চার মূল উদ্দেশ্য বা বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি ?
Ans.নারী ইতিহাস চর্চার মূল উদ্দেশ্য গুলি হল:
- নারীর ঐতিহাসিক অবদান গুলিকে মূল্য দেওয়া এবং সেগুলিকে ইতিহাসে তুলে ধরা।
- নারীর অবমূল্যায়নকারী বিষয়গুলির সমালোচনা করা।
- নারী সম্পর্কে আর্থসামাজিক ও নৈতিক বোধ জাগ্রত করা।
- পুরুষতন্ত্র কিভাবে নারীর বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তা আলোচনা করা।
Q. সরকারি নথিপত্র বলতে কী বোঝো ?
Ans.সরকারের সমস্ত কাজকর্ম লিখিত ডকুমেন্টের মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। এই লিখিত ডকুমেন্ট বা তথ্যগুলো কি আমরা ‘সরকারি নথিপত্র’ বলে থাকি
যেমন: সরকারি আধিকারিকদের রিপোর্ট, প্রতিবেদন, বিবরণ ও চিঠিপত্র ইত্যাদ।
Q. ‘মহাফেজ খানা’ কি ?
Ans.যেখানে সরকারি নথিপত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয় তাকে ‘মহাফেজখানা বা আর্কাইভস’ বলে।
বর্তমানে ভারতের জাতীয় ‘মহাফেজখানা বা ন্যাশনাল আর্কাইভস’ দিল্লিতে অবস্থিত।
Q. সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতা গুলি কি কি ?
Ans.সরকারি নথিপত্রের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা লক্ষ্য করা যায়। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলোঃ
- সরকারি নথিপত্র হিসেবে আধিকারিকদের প্রতিবেদন, রিপোর্ট ও চিঠিপত্রগুলি থেকে শুধুমাত্র সরকারি বক্তব্যই জানা যায়।
- অনেক সময় গোয়েন্দা ও পুলিশের রিপোর্টও ভুলে ভরা ও বিকৃত থাকে।
- অনেক সময় সরকারের রিপোর্ট গোপনই থেকে যায়, প্রকাশ্যে আনা হয় না।
- বহু সরকারি নথিপত্র কখনো কখনো নষ্ট করে দেওয়া হয়।
তাই সরকারি নথিপত্রের সীমাবদ্ধতার জন্য অতীত ইতিহাসের বহু অজানা তথ্য আজও অজানাই রয়ে গেছে।
Q. স্মৃতি কথা বলতে কি বোঝো ?
Ans.স্মৃতিকথা হলো এক ধরনের স্মৃতি সাহিত্য। স্মৃতি কথায় কোন একজন ব্যক্তি তার জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি বা চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনার ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করে রাখেন।
Q. আত্মজীবনী বলতে কী বোঝো ?
Ans.লেখক যখন তার নিজের জীবন কাহিনী নিজেই অকপটে সাহিত্যের আকারে রচনা করেন তখন তাকে বলা হয় আত্মজীবনী।
যেমনঃ বিপিনচন্দ্র পালের ‘৭০ বছর’ সরলা দেবী চৌধুরানীর ‘জীবনের ঝরা পাতা’ ইত্যাদি।
Q. আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা কিভাবে ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার হতে পারে ?
Ans.আত্মজীবনী বার্ষিকী কথা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। কারণ-
- আত্মজীবনী একটি লিখিত সাহিত্যিক উপাদান। যাতে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা জড়িয়ে থাকে। ফলে এর মধ্যে দিয়ে কোন সত্যিকারের ঐতিহাসিক ঘটনার কথা জানা যায়।
- আত্মজীবনী হল সমকালীন আর্থসামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের দর্শন।
- আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা থেকে দেশভাগের ইতিহাস, দাঙ্গার ইতিহা, উদ্বাস্তু সমস্যার ইতিহাস জানা যায়।
Q. ইতিহাসের উপাদান রূপে সংবাদপত্রের গুরুত্ব লেখ।
Ans. সংবাদপত্রের গুরুত্ব গুলি হল:
- সংবাদপত্র কিভাবে জনমত গঠনে সাহায্য করে সে সম্পর্কে জানা যায়।
- সংবাদপত্রগুলিতে ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী নীতির সমালোচনার বিভিন্ন দিক ফুটে ওঠে।
- সংবাদপত্র গুলিকে উল্লেখিত সমসাময়িক রাজনৈতিক খবরাখবর থেকে সমকাল রাজনৈতিক ইতিহাস জানা যায়।
- উনিশ শতকে এদেশে সমাজ ও ধর্মের ক্ষেত্রে কুসংস্কার ছিল তার বিরুদ্ধে সমাজ সংস্কারক ও ধর্ম সংস্কারকরা কিভাবে সোচ্চার হয়েছিলেন তা জানা যায়।
Q. সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রের মধ্যে পার্থক্য গুলি কি কি ?
Ans.
সংবাদপত্র | সাময়িক পত্র |
সংবাদপত্র দৈনিক প্রকাশিত হয়। | সাময়িক পত্র নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রকাশিত হয়। |
সংবাদপত্র তুলনামূলক সংস্থা দামের কাগজে প্রকাশিত হয়। | সাময়িক পত্র প্রকাশিত হয় দামী কাগ। |
সংবাদপত্র বাঁধাই আকারে থাকে না। | সাময়িক পত্র বাধাই আকারে থাকে। |
সংবাদপত্রের ব্যক্তিগত মতামত গুরুত্ব পায় না। | সাময়িক পত্রে ব্যক্তিগত মতামত গুরুত্ব পাই |
Q. ব্রিটিশ সরকার কেন ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে সোমপ্রকাশ সাময়িক পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ করে দেন ?
Ans.সোমপ্রকাশ পত্রিকায় প্রথম খোলাখুলি ভাবে ব্রিটিশ সরকারের সমালোচনা শুরু করে। তাতে বাংলার কৃষকদের ওপর নীলকর সাহেবদের সীমাহীন শোষণ ও অত্যাচারের কাহিনী তুলে ধরা হয়। তাই সরকার সরকারি সমালোচনা বন্ধ করার জন্য ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে এই পত্রিকার এই পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ করে দেন।
Q. ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখ।
Ans.
সুবিধাঃ
- ইন্টারনেটের সাহায্যে খুব অল্প সময়ে, খুব সহজে ঘরে বসে পৃথিবীর যাবতীয় তথ্য জেনে নেওয়া সম্ভব।
- ইন্টারনেটে প্রশ্ন লিখে সরাসরি উত্তর পাওয়া সম্ভব
- সাধারণভাবে, তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রচুর অর্থ লাগলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ব্যয় হয় খুবই সামান্য।
অসুবিধাঃ
- ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে বই পাঠের অভ্যাস কমে যাচ্ছে।
- অনেকে ইন্টারনেটে নিজের মনগড়া ভুল তথ্য আপলোড করে। ফলে পাঠক -পাঠিকারা সম্মুখীন হয়।
- সময়মতো ইন্টারনেটে সব তথ্য পাওয়া যায় না। আবার সার্ভার ডাউন থাকলে ইন্টারনেটে কাজ করা সম্ভব হয় না। ইত্যাদি
আরো অন্যান্য প্রশ্ন উত্তর গুলো দেখতে ক্লিক করুন এখানে
তথ্যসূত্র:
এই ব্লগের কাজ করতে আমি Wikipedia সাহায্য নিয়েছি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
Q. ‘সিটি অফ জয়’/’ফুটবলের মক্কা’হিসেবে পরিচিত কোন শহর ?
Ans. কলকাতা।
Q. আর জি কর মেডিকেল কলেজ কে, কবে প্রতিষ্ঠা করেন ?
Ans. ডক্টর রাধা গোবিন্দ কর এর নেতৃত্বে প্রথম ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বেসরকারি মেডিকেল কলেজরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় বেলগাছিয়া মেডিকেল কলেজ। যা বর্তমানে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামে পরিচিত।
Q. ‘বানর সেনা’ কে গঠন করেছিলেন ?
Ans.. যখন ইন্দিরা গান্ধীর বয়স ছিল মাত্র 12 বছর তখন তিনি ‘বানর সেনা’ নামে এক বাহিনী গঠন করেন, যেখানে তার বয়সী বহু কিশোর কিশোরী ছিল। যাদের প্রধান কার্যকলাপ ছিল পতাকা তৈরি করা, বিপ্লবীদের বিভিন্ন সংবাদপত্র আদান প্রদান করা।
Q.’ স্বপ্ন নগরী’/ ‘বাণিজ্য নগরী’ বলা হয় কোন শহর ?
Ans. মুম্বাইকে।
Q. ‘পরিকল্পিত নগরী’ কাকে বলে ?
Ans. কৃত্রিমভাবে পরিকল্পনা করে যেসব নগর গড়ে তোলা হয় তাদের পরিকল্পিত নগরী বলে। যেমন-দুর্গাপুর, কল্যাণী, নয়ডা, চন্ডিগড, জামশেদপুর ইত্যাদি।
Q. পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরির কৌশল কে, কবে আবিষ্কার করে ?
Ans.পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি কৌশল আবিষ্কার করেন টেলফোর্ড ও ম্যাকডাম ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে।
Q. ‘ব্রাম্ভিকা পদ্ধতি’ কি ?
Ans. পারস্যি মেয়েদের মত কুচি দিয়ে শাড়ি পরার নতুন স্টাইল প্রচলন করেন ভারতের প্রথম আই .সি. এস সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী যা ‘ব্রাম্ভিকা স্টাইল’ নামে পরিচিত।
Q. ভারতের শেরওয়ানি পরিধানের রীতি প্রচলন করেন কারা ?
Ans. ভারতের শেরওয়ানি পরিধানের রীতি প্রচলন করেন কুষাণরা।
Q. সুয়েজ খাল কবে খনন করা হয় ?
Ans. ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে সুয়েজ খাল খনন করা হয়। যার জন্য লন্ডন থেকে বোম্বে আসতে খুব কম সময় লাগে।
Q. শহীদ মিনার এর পূর্ব নাম কি ছিল ?
Ans. শহীদ মিনারের পূর্ব নাম ছিল অক্টারলোনি মনুমেন্ট। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে