মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 1 নম্বরের প্রশ্ন-উত্তর

উত্তর: উনিশ শতককে বাংলায় ‘নবজাগরণের শতক’ বলা হয়।

উত্তর: বাংলার নবজাগরণ ছিল কলকাতা শহরকেন্দ্রিক।

উত্তর: উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের ব্যপ্তি খুবই সীমিত ছিল কারণ-এই নবজাগরণ কেবলমাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল

উত্তর: বামাবোধিনী পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন-বিশিষ্ট ব্রাহ্মণ নেতা ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ উমেশচন্দ্র দত্ত।

উত্তর: বামাবোধিনী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়-১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র টি হল-দিগদর্শন।

উত্তর: বাঙালি পরিচালিত প্রথম সংবাদপত্র টি হল-সম্বাদ প্রভাকর।

উত্তর: হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকা ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ই জানুয়ারি থেকে প্রকাশিত হয়।

উত্তর: দৈনিক হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।

উত্তর: হুতোম প্যাঁচার নকশা রচনা করেন কালী প্রসন্ন সিংহ। এটি ছিল বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম ব্যঙ্গ সাহিত্য।

উত্তর: হুতোম প্যাঁচা ছদ্মনাম ছিল-কালীপ্রসন্ন সিংহের।

উত্তর: নীল বিদ্রোহের পটভূমিকায় ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে দীনবন্ধু মিত্র নীলদর্পণ নাটকটি রচনা করেন।

ঢাকায় ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে নীলদর্পণ নাটকটি প্রথম প্রকাশিত হয় এবং এখানেই প্রথম অভিনীত হয়

নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন রেভা: জেমস লং। ইংরেজিতে অনুবাদটি করেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

উত্তর: নীলদর্পণ নাটকটি প্রথম ছাপা হয়েছিল ঢাকায়।

উত্তর: গ্রামবার্তা প্রকাশনী পত্রিকা।

উত্তর: গ্রামবার্তা পত্রিকা হরিনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে, মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ হয়।

উত্তর: গ্রামবার্তা পত্রিকাটি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী গ্রাম থেকে প্রকাশিত হত।

উত্তর: গ্রামবার্তা পত্রিকার প্রথম সম্পাদক হরিনাথ মজুমদার কাঙ্গাল হরিনাথ ও ফিকিরচাঁদ বাউল নামে পরিচিত ছিলেন।

উত্তর: ভারতে প্রাচ্য শিক্ষা বিস্তারের জন্য ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্তর: স্যার উইলিয়াম জোন্স ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে প্রাচ্য শিক্ষা চর্চার উদ্দেশে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্তর: ভারতবর্ষে ইংরেজ কর্মচারীদের বাংলা ভাষা শেখার জন্য।কারণ এ দেশে বাণিজ্য ও প্রশাসন চালানোর জন্য ইংরেজি কর্মচারীদের বাংলা ভাষা আয়ত্ত করা প্রয়োজন ছিল।

উত্তর: জোনাথান ডানকান ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে বারানসী সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্তর: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ওয়েলেসলির এর উদ্যোগে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।

উত্তর: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়।

উত্তর: ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন গঠন করা হয়েছিল। এর সভাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন থমাস ব্যাবিংটন মেকলে।

উত্তর: উইলিয়াম জোন্স, উইলসন, কোলব্রোক, প্রিন্সেপ প্রমুখ।

উত্তর: টমাস ব্যাবিংটন মেকলে, রাজা রামমোহন রায়, আলেকজান্ডার ড্রাফ প্রমুখ।

উত্তর ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের আবেদন জানিয়ে রামমোহন রায় ১৮২৩ লর্ড আমহাস্ট একটি চিঠি লিখেছিলেন। এই চিঠি রামমোহনের স্মারকলিপি নামে পরিচিত।

উত্তর: ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বর্তমান নাম-স্কটিশ চার্চ কলেজ।

উত্তর: ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে মেকলে মিনিট প্রকাশিত হয়।

উত্তর: মেকলে

উত্তর: ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে কাউন্সিল অফ এডুকেশন গঠিত হয়।

উত্তর: ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে হার্ডিঞ্জ ইংরেজিকে সরকারি ভাষা স্বীকৃতি দেন।

উত্তর: ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে চার্লস উডের সভাপতিতে বোর্ড অফ কন্ট্রোল গঠিত হয়।

উত্তর: উডের ডেসপ্যাচ কে।

উত্তর: উডের ডেসপ্যাচ অনুসারে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, মুম্বাই ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত।

উত্তর: লর্ড ক্যানিং।

উত্তর: ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। লর্ড বেন্টিঙ এর আমলে।

উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন স্যার উইলিয়াম কোলভিল ।

উত্তর: ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম সরকারি শিক্ষা কমিশন হান্টার কমিশন গঠিত হয়। এই সময় ভাইসরয় ছিলেন লর্ড রিপন।

উত্তর: ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারি শিক্ষা দপ্তর বা ডিরেক্টরেট অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন কবে খোলা হয়।

উত্তর: ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় অ্যাংলো স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে।

উত্তর: ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন।

উত্তর: রাজা রামমোহন রায় নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে ‘স্ত্রী শিক্ষা বিষয়ক’ পুস্তক রচনা করেছিলেন।

উত্তর: গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে পুস্তকটি রচনা করেন।

উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য ছিলেন-স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তর: আশুতোষ মুখোপাধ্যায়।

উত্তর: হিন্দু মেট্রোপলিটন কলেজ।

উত্তর: ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন প্রতিষ্ঠিত ‘নেটিভ ফিমেল স্কুল’ । যেটি বর্তমানে বেথুন স্কুল নামে পরিচিত।

উত্তর: ডাঃ এম. জে ব্রামলে।

উত্তর: স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

উত্তর: ১৮৫৮ সালে।

উত্তর: ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও যদুনাথ বসু প্রথম স্নাতক হন।

উত্তর: ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম মহিলা স্নাতক হন কাদম্বিনী গাঙ্গুলী ও চন্দ্রমুখী বসু।

উত্তর: দেলওয়ার হোসেন আহমেদ।

উত্তর: লর্ড ক্যানিং।

উত্তর: ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায়।

উত্তর: ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় একেশ্বরবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে এই প্রতিষ্ঠানের নাম ব্রাহ্মসমাজ রাখা হয়।

উত্তর: রামমোহনের মৃত্যুর পর ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মসমাজে নেতৃত্ব ভাগ গ্রহন করেন। তিনি বিভিন্ন সংস্কার সাধন করে ব্রাহ্মসমাজের নতুন প্রাণের সঞ্চার করেন।

উত্তর: ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে কেশব চন্দ্র সেন ।

উত্তর: ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তিন আইন পাস করে। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল-বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ প্রভৃতি সামাজিক কুসংস্কার গুলি নিষিদ্ধ করা এবং বিধবা বিবাহ ও অসবর্ণ বিবাহ আইনসিদ্ধ করা।

উত্তর: রাজা রামমোহন রায়।

উত্তর: ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে ৪ঠা ডিসেম্বর রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় লর্ড বেন্টিঙ ১৭ নম্বর রেগুলেশন প্রণয়নের মাধ্যমে সতীদাহ প্রথা রোধ করেন।

উত্তর: হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুইস ভিভিয়ান ডিরোজিও। তিনি ‘নবজাগরণের ঝড়ের পাখি’ নামে পরিচিত।

উত্তর: এথেনিয়াম।

উত্তর: বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই লর্ড ক্যানিং ১৫ নম্বর রেগুলেশন দ্বারা বিধবা বিবাহ আইন পাস করে।

উত্তর: সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে ৭ই ডিসেম্বর প্রথম বিধবা বিবাহ করে। তিনি বর্ধমানের কালীমতি দেবীকে বিবাহ করেছিলেন।

উত্তর: শ্রীরামকৃষ্ণ।

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৭ খ্রিস্টাবে ধর্ম প্রচারের জন্য রামকৃষ্ণ মঠ ও সামাজিক কাজের জন্য রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্তর: তার ধর্ম ছিল ‘মানুষ তৈরীর ধর্ম’ বা ‘Man -making religion’।

উত্তর: ফরাসি ভাষর।

উত্তর: কলকাতা শহর কেন্দ্রিক।

উত্তর: কারণ-এই নবজাগরণ বাংলার প্রগতিশীল শিক্ষিত মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

উত্তর: হুগলি থেকে।

উত্তর: সংবাদ প্রভাকর।

উত্তর: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

উত্তর: মতিলাল শীল।

উত্তর: ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে।

উত্তর: গঙ্গা কিশোর ভট্টাচার্য।